বছরে ৩ লাখ যুব ও যুবনারীকে প্রশিক্ষণ দেয় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১৪:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  সাখের আহমদে বিপ্লব:

যুব সমাজ একটি দেশের অমূল্য সম্পদ। একটি জাতির উন্নয়ন নির্ভর করে তার যুব সমাজের উপর। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ যুব ও যুব নারী। এই বিশাল যুব জনশক্তিকে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। এই অধিদপ্তরের অধিনে বছরে ৩ লাখ বা তার অধিক যুব ও যুব নারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। 
অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। যার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক যুব ও যুব নারী বর্তমানে সফল উদ্যোক্তা বনে গেছেন। ভবিষতে অধিদপ্তর তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আরো জোরদার করবে। 

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮১ সালে পূর্ণাঙ্গ অধিদপ্তরে রূপান্তরিত হয়। অথাৎ মাঠ পর্যায়ে যুব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ১৯৮১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠন করা হয়।

জাতীয় যুবনীতি অনুসারে বাংলাদেশের ১৮-৩৫ বছর বয়সী জনগোষ্ঠি যুব হিসেবে পরিচিত। এ বয়সসীমার জনসংখ্যা ২০২২ সালের আদম শুমারি ও গৃহ গণনা অনুযায়ী ৫ কোটি ৫০ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৭২ জন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। 

জনসংখ্যার প্রতিশ্রুতিশীল, উৎপাদনক্ষম ও কর্মপ্রত্যাশী এই যুবগোষ্ঠিকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গৌরব বৃদ্ধিতে সক্ষম, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন আধুনিক জীবনমনস্ক যুবসমাজ।

অধিদপ্তরের প্রধান কর্মকাণ্ড

১.     যুবদের জন্য কম্পিউটার, সেলাই, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল সার্ভিসিং, কৃষি, পশুপালন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান।
২. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ক্ষুদ্র ঋণ ও পরামর্শ প্রদান।
৩. স্থানীয় যুব সংগঠনগুলোকে সহায়তা দিয়ে নেতৃত্ব ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে।
৪. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক যুব কার্যক্রমে বাংলাদেশের যুবদের অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান।
৫. যুব সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও কল্যাণ সাধন।

অধিদপ্তরের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

সংশ্লিষ্টরা বলেন, যুবকদের উন্নয়নে এখানে সরকারের বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন। কেননা যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে যুবকদের বড় একটা অংশ সার্টিফিকেটধারী বেকার থেকে যাচ্ছেন। তাছাড়া যুবকদের জন্য প্রশিক্ষণ সুবিধা আধুনিকায়ন ও তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রম বাড়ানোর প্রয়োজন। কিন্তু বাজেট সল্পতার কারণে সেটাও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এই খাতে সরকারের বাজেট সম্প্রসারণ করা হলে প্রশিক্ষণ সুবিধার আধুনিকায়ন ও তৃণমূল পর্যায়ে কার্যক্রম বাড়ানোর মাধ্যমে যুবকদের উন্নয়নে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে অধিদপ্তর।


আমার বার্তা/এমই