তথ্য আপাদের অবস্থানে শ্রম সংস্কার কমিশন প্রধান ও শ্রমিক নেতাদের সংহতি

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ১২:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

চাকরি স্থায়ীকরণ ও কর্তন করা বেতন পরিশোধের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ২১ দিন ধরে অবস্থান করছেন তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা। তাদের এই অবস্থান কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ এবং শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় স্কপ নেতা আহসান হাবিব বুলবুলের পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এই সংহতি জানানো হয়। 

এর আগে স্কপ নেতারা তথ্য আপাদের সঙ্গে দেখা করলে, তাদের সামনে আন্দোলনের দাবি এবং প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তথ্য আপাদের প্রতিনিধি সঙ্গীতা সরকার।

সংহতি জানিয়ে বিবৃতে স্কপ নেতারা বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রান্তিক নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০১৮ থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় মহিলা সংস্থা পরিচালিত ৪৯২টি উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত তথ্যকেন্দ্রে এই সব নারী কর্মকর্তারা দীর্ঘ ৭ বছর যাবত সেবা দিয়ে এসেছেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের গুরুত্ব, ই-কমার্স ব্যবসায়, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, বিভিন্ন সেবার অনলাইন আবেদন, চাকরির আবেদন, বিভিন্ন ভাতার আবেদন, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহযোগিতা, হেল্পলাইন নম্বর পরিচিতিসহ উপজেলা পর্যায়ে সব সেবার তথ্য গ্রামীণ নারীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তারা। তারপরেও রাজনৈতিক বিবেচনায় এই প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়ে অন্যায়ভাবে প্রায় দুই হাজার নারী কর্মকর্তা কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা গ্রহণযোগ্য নয়।

তারা আরও বলেন, স্বাধীন সংস্থা দ্বারা মূল্যায়নের ফলাফল বলছে পরিচালিত প্রকল্প নির্ধারিত লক্ষ্যের ৯০ শতাংশ অর্জন করেছে। এই সফলতা অস্বীকার করতে না পেরে সরকার প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায় চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে কিন্তু সেখানে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এই ধরনের পদক্ষেপ হবে আইএলও কনভেনশন ও শ্রম আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
 
আইএলও কনভেনশন অনুসারে রাজনৈতিক মতাদর্শ, ধর্মীয় মতাদর্শ, ভৌগোলিক অবস্থান, জাত, লিঙ্গ বা বর্ণের কারণে কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য করা যাবে না। আর শ্রম আইনের ২০ নম্বর ধারায় বলা আছে, কোনো কাজে অতিরিক্ত বলে বিবেচিত হওয়া বা কাজ শেষের কারণে চাকুরিচ্যুত কর্মীকে পরবর্তী নিযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। চাকরির অবসানে চাকরির বয়সানুসারে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান আছে। অথচ, এই নারীদের চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিবর্তে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়ে ৭ বছর যাবত তাদের বেতন থেকে প্রতিমাসে কয়েক হাজার টাকা হারে কর্তনের অভিযোগ আছে। সরকারের দায়িত্ব তদন্তের মাধ্যমে এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা এবং অভিযোগ সত্য হলে কর্তন করা টাকা সংশ্লিষ্ট নারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা কারা।

বিবৃতিতে আন্দোলনরত তথ্য আপাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানায় স্কপ।


আমার বার্তা/জেএইচ