ঈদের ছুটির আজ শেষ দিন হওয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে।
শনিবার (১৪ জুন) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে দৌলতদিয়ার ঢাকা-খুুলনা মহাসড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার যাত্রীবাহী যানবাহনের লম্বা সিরিয়াল তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে।
তীব্র গরমে দীর্ঘসময় সিরিয়ালে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা।
ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী যানবাহনের তুলনায় ছোট গাড়ির চাপ বেশি দেখা গেছে। লঞ্চঘাটে রয়েছে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়।
ঈদের ছুটির আজ শেষ দিন হওয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট। আজ সকালে চাপ কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে বাড়তে থাকে যাত্রী ও যানবাহন। ফলে দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে তৈরি হয় লম্বা সিরিয়াল। ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের পারাপারে এবার ২০টি লঞ্চ ও ছোট-বড় ১৭টি ফেরি চলাচল করছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার বলেন, সকালের তুলনায় দুপুরের পর যাত্রীদের চাপ আরও বেড়েছে। লঞ্চ পরিপূর্ণ হলে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। যাত্রীর চাপ থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে না। ২০টি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা এসেই পার হতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। দুপুরের পর অল্প কিছু যানবাহনের সিরিয়াল হয়েছে। তবে দ্রুত তা কমে যাবে।
তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার যানবাহন পার হয়েছে। এরমধ্যে ছোট গাড়ির সংখ্যা বেশি। বতর্মানে এই নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৭টি ফেরিতে করে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।
আমার বার্তা/এল/এমই