অগ্নি দুর্ঘটনায় মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিসকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়

প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ১৮:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:

ক্র্যাব-ফায়ার সার্ভিস প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক(প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে, দুর্ঘটনাসহ যেকোনো দুর্যোগ মুহুর্তে অনেক ঝুঁকি নিয়ে করে থাকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপরও ট্রাফিক অবস্থা ও মবের মতো অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। ফায়ার সার্ভিসের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরতে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর সদস্যদের নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

এসময় ক্র্যাবের প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জসীম উদ্দীনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো: শাহজাহান শিকদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের সিদ্দিক বাজার স্টেশনের উদাহরণ তুলে ধরে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার বলেন, আমাদের এই স্টেশনটি অত্যন্ত একটিভ৷ দুই এক দিন পর পরে কিন্তু অগ্নি দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের যেতে হয়। অগ্নি দুর্ঘটনার খবর পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে এই ভাইরাস স্টেশন কত তড়িৎ গতিতে সাড়া দেন ও অগ্নি দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান চাইলে যে কোন গণমাধ্যম তা নিয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করতে পারেন। এটা এ কারণেই প্রচার হওয়া দরকার, কারণ এতে জনগণ বুঝতে পারবেন যে, কোনো দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসর ফাইটার কত অল্প সময় নিয়ে সাড়া দেন।

আগুন-বা দুর্ঘটনায় একটি ফায়ার স্টেশন থেকে আর ফাইটাররা যখন মুভ করেন তখন বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সড়কের ট্রাফিক অবস্থা একটা সমস্যা৷ কখনো কখনো অগ্নি দুর্ঘটনাস্থলে পৌছার পর মবের মুখোমুখি হতে হয়। বিষয়টি তুলে ধরার জন্য যেকোনো গণমাধ্যম বা সাংবাদিক চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা ডকুমেন্টারি তৈরি করতে পারেন আমরা সেই সুযোগটি করে দিতে চাই। তাতে করে জনগণ বুঝতে পারবে ফায়ার সার্ভিস আসলে কতটা অ্যাকটিভ ও কি কি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।

দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অর্জিত জ্ঞান সাংবাদিকরা পেশাগত কাজে লাগাতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সাংবাদিকরা যেকোনো অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করতে পারবো।   
এত করে সাংবাদিকদের বিষয়গুলো আমরা আর আমাদের বিষয়গুলো সাংবাদিকরা ভালো বুঝতে পারবেন। এতে করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি৷

পাশাপাশি অগ্নি ও ভূমিকম্প দুর্যোগে নিরাপত্তা, সেফটি পরিকল্পনা ও সচেতনতায় সাংবাদিকদের নিয়ে সচেতেনতামূলক কার্যক্রম ও কার্যকরী কর্মশালা বাড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

 ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর ৪৫ জন সদস্য অংশ নেন। কর্মশালায় হাতে-কলমে অগ্নিদুর্যোগ মোকাবেলা, ভূমিকম্পে সাবধানতা ও করণীয়, অগ্নিকাণ্ড বন্যা ও পাহাড় ধ্বসের মতো ঘটনায় মাঠ পর্যায়ের রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের করণীয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

ক্র্যাবের প্রশিক্ষণ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন বলেন, মাঠ পর্যায়ে যেসব অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিক রিপোর্টিং করেন তাদের জন্য সেফটি সিকিউরিটি সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দুর্যোগ অগ্নি দুর্ঘটনায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সচেতনতামূলক জ্ঞান থাকা জরুরী। এক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের এই প্রশিক্ষণ ভূমিকা রাখবে।  

উপস্থিতত ছিলেন ক্র্যাবের যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের সিনিয়র স্টাফ অফিসার মো. শাহজাহান শিকদার প্রমূখ।

এর আগে বুধবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব)-এর সদস্যদের নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ, উদ্ধার ও প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ক দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল এবং সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্সহ ক্র্যাব নেতৃবৃন্দ।

 

আমার বার্তা/নয়ন/এমই