সমতা ও মর্যাদার কর্মক্ষেত্রই টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি: শারমীন এস. মুরশিদ
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ২০:০৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য রোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর জোর দিয়েছেন সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ।
মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত “কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি সংক্রান্ত আইএলও কনভেনশন ১৯০” শীর্ষক সংলাপে তিনি বলেন, “নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে নারীর পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারীর ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় কেবল প্রতিশ্রুতিই নয়, বাস্তব পদক্ষেপেও প্রতিফলিত হচ্ছে।”
আইএলও কনভেনশন ১৯০-এর অনুসমর্থনের তাৎপর্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই কনভেনশন কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, মজুরি বৈষম্য ও সীমিত আইনি সুরক্ষার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করবে।” ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল লেবার স্ট্যান্ডার্ডস কমিটি ও আইএলও বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর তুওমো পাওতিয়েনেন, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের চেয়ারপারসন শিরীন পারভীন হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, “নারীদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মক্ষেত্র গড়ে না তুলতে পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।” তিনি জানান, শ্রম আইন সংশোধন এবং কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বিত উদ্যোগ চলমান।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে শারমীন এস. মুরশিদ বলেন, “নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে নীতিনির্ধারক, নিয়োগকর্তা, শ্রমিক সংগঠন ও সুশীল সমাজকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” তিনি অংশগ্রহণকারীদের সংলাপ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে সম্মিলিত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ভবিষ্যতের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণে আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলব, যেখানে আইনের শাসন ও দায়বদ্ধতা বাড়বে।”
আমার বার্তা/এমই