প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনিরা যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করবোই।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থলে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, খুনিরা যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করবোই।
শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অবৈধভাবে ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যমে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়। রাজনীতির সুযোগ দেওয়া হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি।
এর আগে সমাবেশস্থলে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত হলে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে বেলুন ওড়ানো ও শান্তির প্রতীক কবুতর অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে শুরু হয় সম্মেলনের মূল কার্যক্রম।
এদিকে, সকাল থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে আসা সদস্যদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। তাদের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের পোশাক, অনেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল আর ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন।
সাত বছর পর অনুষ্ঠিতব্য এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সম্মেলন সফল করতে গত দুই সপ্তাহ ধরে স্বাচিপের নেতাকর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করছেন।
পর্যায়ক্রমে সব বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার কথাও বলেন তিনি।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর সার্বিক কার্যক্রম আজ সন্ধ্যায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাচিপের সম্মেলনে সভাপতি ও মহাসচিব পদে কোন দুজন আসছেন তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। কেউ বলছেন পুরোনো, অভিজ্ঞ ও দলের প্রতি আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এমন প্রবীণ চিকিৎসক নেতাদের মধ্যে থেকেই সভাপতি ও মহাসচিব নির্বাচিত হবেন।
এবি/ জিয়া