যে ৫ উপায়ে প্রবীণদের যত্ন নেবেন

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২২, ১৯:২২ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

ছবি: ইন্টারনেট

প্রবীণরা সমাজে সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। তাদের প্রতি যত্নশীল হওয়া সবারই কর্তব্য। দেশে অতীতের চেয়ে বর্তমানে প্রবীণের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির কারণে দেশে প্রবীণের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যা মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ। প্রবীণদের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়া উচিত সবারই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তখন পরিবারের সবার উচিত ওই প্রবীণের সুস্থতার দিকে নজর রাখা। বেশিরভাগ প্রবীণরাই একাকিত্বে ভোগেন। এ কারণে পরিবারের উচিত প্রবীণকে দূরে ঠেলে না দিয়ে বরং তাকে সময় দেওয়া, বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া উচিত।

১.ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখুন: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে যেমন পরিবর্তন আসে, ঠিক তেমনিই আসে মানসিক পরিবর্তন। এজন্য বৃদ্ধরা যে কোনো সময় যে কোনো বিষয়েই নানা ধরনের মন্তব্য করতে পারেন। তবে তাদের কথায় ধরবেন না, বরং তাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। তার আচরণে হয়তো আপনার পছন্দ মতো নাও হতে পারে, তবুও তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। কারণ প্রবীণরাও কিন্তু শিশুর মতোই!

২.স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন: বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রমে ভোগেন বেশিরভাগ প্রবীণ। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অস্টিওপোরোসিস, চোখের অসুখ, পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, কিডনিতে ও লিভারের নানা সমস্যায় ভোগেন প্রবীণরা।

আসলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে এ সময় মানুষ খুব সহজে জীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত হয়। সুতরাং বাড়ির প্রবীণ মানুষটি যদি কোনো রোগে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই তার সঠিক যত্ন নিতে হবে।

৩.নিয়মিত চেকআপ করুন: প্রয়োজনে পরিবারের লোকজনদের তাকে নিয়মিত চিকিৎসকের চেকআপে রাখতে হবে। চিকিৎসক যে চিকিৎসা দেবে সে অনুযায়ী ওষুধ খাওয়াতে হবে। এই সময় প্রবীণ বাবা বা মা হয়তো ওষুধ মনে রাখতে পারে না। তাই তাকে নিয়ম করে ওষুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

৪.ঘুরতে নিয়ে যান: বৃদ্ধ বলে যে প্রবীণকে নিয়ে কোথায় ঘুরতে যাবেন না, এ কাজটি কখনো করবেন না। তাদেরও ইচ্ছে হয় খোলণা হাওয়ায় সময় কাটানোর। মাঝে মধ্যে তাকে নিয়ে ঘুরতে যান।

৫.বিনোদনমূলক ব্যবস্থা রাখুন: প্রবীণের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিনোদনমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখুন। পরিবারের সবার সঙ্গে যদি সময় কাটাতে পছন্দ করেন প্রবীন তাহলে তাকে বেশি সময় দিন। এছাড়া টিভি দেখা, গান শোনা, বই পড়াসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা রাখুন প্রবীণের কাছে।


আমার বার্তা/ইব্রাহীম জাহিদ