প্রহসনের নির্বাচনে দায় স্বীকার করলেন সাবেক সিইসি নূরুল হুদা

প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫, ১৮:৪৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা রাষ্ট্রদ্রোহ ও জনগণের ভোট ছাড়া ২০১৮ সালে প্রহসনের সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঙ্গলবার (১ জুলাই) দুই দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার। নূরুল হুদা দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন এ তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

নুরুল হুদার পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম সজিব এ এতথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজকে নূরুল হুদার রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন পুলিশ। আমরা তার জামিনের দরখাস্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত হয়। এরপর আদালতে এসে জানতে পারি তিনি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিচ্ছেন।

গত ২২ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে নুরুল হুদার বাড়িতে গিয়ে ‘স্থানীয় জনতা’ তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৭ জুন চার দিনের রিমান্ড শেষে একই মামলায় পুনরায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

গত ২৯ জুন একই মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২২ জুন দশম থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করা তিন সিইসি যথাক্রমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করার অভিযোগে শেরেবাংলানগর থানায় মামলা করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। পরবর্তীতে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।

সাবেক সচিব নূরুল হুদা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সিইসি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের দ্বাদশ সিইসি। তার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস‌্যের কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ের সব ভোট হয়।


আমার বার্তা/এমই