মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে আদালত থেকে ‘ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগীরা’

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২২, ১৫:১৪ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক :

২০১৫ সালে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেএমবির দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে জঙ্গিরা। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গি হলো- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪) ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব (৩৪)। এদের মধ্যে মাইনুল সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। আর আবু সিদ্দিক লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। 

সন্ত্রাস দমন ট্রাইবুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান জাকির জানান, রোববার সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। হাজত খানা থেকে তাদের সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাজতখানায় নেওয়ার পথে অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আট জন পুলিশকে স্প্রে মেরে আসামিদের ছিনিয়ে নিয়ে যায়। 

আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) এই দুই সদস্য ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলাতে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত। একই বছর ৩১ অক্টোবর আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যার মামলাতেও মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত হয়েছে এই দুই জঙ্গি।

এদের ধরিয়ে দিতে এক সময় পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে আরও একাধিক মামলা রয়েছে। সেগুলোতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আজ ২০১৩ সালের মোহাম্মদপুর থানার সন্ত্রাস দমন আইনের একটি মামলায় তাদের আদালতে তোলা হয়েছিল।

এদিকে ডিএমপির উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন জানান, আজ রোববার ১২টার দিকে এই দুই জঙ্গিকে ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে তোলার জন্য আদালত চত্বরে নিয়ে আসে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। শুনানি শেষে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার সময় নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের দিকে বিশেষ ধরনের স্প্রে ছুড়ে দেয়। এসময় চারিদিকে ধোঁয়ার মতো সৃষ্টি হয়। এই সুযোগে তারা লাপাত্তা হয়ে যায়। 

তিনি জানান, ‘ঢাকা শহর থেকে বের হওয়ার প্রতিটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বের হওয়া গাড়িগুলো কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

এবি/ জিয়া