আরএসএস প্রধানের দাবি: ভারত কখনোই কোনো দেশ দখল করেনি

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:০২ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

৩ হাজার বছর আগে ভারত “সেরা দেশ” ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের কট্টর উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত। তার দাবি, ভারত বিশ্বকে নেতৃত্ব দিলেও কোনো দেশ দখল করেনি বা অন্যের বাণিজ্য ঠেকায়নি।

ভারতের উন্নতির ভয়ে আজকের বিশ্বশক্তিগুলো দেশটির ওপর শুল্ক আরোপ করছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

রোববার আরএসএস প্রধান বলেছেন, প্রায় তিন হাজার বছর আগে ভারত বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে, তবে কখনোই কোনো দেশ দখল করেনি বা অন্যের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করেনি। তার দাবি, ভারত যেখানে গেছে, সেখানে সভ্যতা ও জ্ঞান বিতরণ করেছে।

নর্মদা পরিক্রমা নিয়ে প্রহ্লাদ প্যাটেলের লেখা একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মোহন ভগবত বলেন, “আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছি। কিন্তু কোনো দেশ দখল করিনি, কারও বাণিজ্য ঠেকাইনি, কারও সংস্কৃতি পরিবর্তন করিনি, কাউকে ধর্মান্তরিত করিনি। বরং যেখানে গেছি, সভ্যতা, জ্ঞান ও শাস্ত্র শিখেছি, জীবনকে উন্নত করেছি। প্রতিটি জাতির নিজস্ব পরিচয় ছিল, সবকিছু ছিল, কিন্তু তাদের মধ্যে ভালো যোগাযোগও ছিল। আজ সেটা নেই।”

আরএসএস প্রধান বলেন, পূর্বপুরুষদের সচেতনতা ও নির্মল মনোভাবের কারণেই তিন হাজার বছর আগে ভারত ছিল “সেরা দেশ”। তার ভাষায়, “তখন বিশ্বে কোনো সংঘাত ছিল না। প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ছিল খুবই উচ্চ পর্যায়ে, কিন্তু পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয়নি। মানুষের জীবন ছিল সুখী ও সংস্কৃতিময়।”

ভগবত উল্লেখ করেন, ভারত বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে, কিন্তু কোনো দেশ দখল করেনি বা অন্যের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করেনি।

এর আগে গত শুক্রবার নাগপুরে ব্রহ্মকুমারী বিশ্ব শান্তি সরোবরের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভগবত বলেন, ভারতের উন্নতির ভয়ে বিশ্বশক্তিগুলো দেশটির ওপর শুল্ক আরোপ করছে। কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “মানুষ ভাবে, অন্য কেউ যদি বড় হয়ে যায়, তবে তাদের কী হবে। ভারত যদি বড় হয়, তারা কোথায় থাকবে? তাই তারা শুল্ক বসিয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, এটি ভারতের দোষ নয়; বরং বৈশ্বিক অঙ্গনে ভারতের ক্রমবর্ধমান অবস্থানকে কেন্দ্র করে ভয়ের প্রতিফলন। তার ভাষায়, “আমরা কিছু করিনি, অথচ তারা যেটা করেছে, তাদেরই খুশি করছে, কারণ তাদের পাশে থাকলে ভারতকে কিছুটা চাপ দেওয়া যায়।”

আরএসএস প্রধানের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ কেবল আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।