সম্প্রতি আলাস্কায় অনুষ্ঠিত ডোনাল্ড ট্রাম্প-ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠককে রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য ‘অর্জন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক আসলে পুতিনের চাওয়া পূরণ করেছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, গত মাসে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক পুতিনকে ‘তার চাওয়া পূরণ’ করে দিয়েছে।
রোববার সম্প্রচারিত এবিসি টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, “আমি মনে করি, পুতিন যা চাইছিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে সেটাই দিয়েছেন। পুতিনের প্রবল ইচ্ছা ছিল ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার।”
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ আগস্টের বৈঠকে ইউক্রেনকে বাদ দেওয়ায় তিনি হতাশ। তার ভাষায়, “পুতিন আমার সঙ্গে দেখা করতে চায় না, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে সবার সামনে ছবি দেখাতে খুব আগ্রহী। আমার মনে হয়, এটা দুঃখজনক যে, ওই বৈঠকে ইউক্রেন ছিল না।”
এদিকে জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং মস্কোর ওপর আরও চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রুশ তেল কেনার মাধ্যমে মস্কোকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলে ভারতকে অতিরিক্ত শুল্কের আওতায় এনেছে। এই পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জেলেনস্কি কিছু ইউরোপীয় দেশেরও সমালোচনা করেছেন যারা এখনো রাশিয়ার জ্বালানি কিনছে। তিনি বলেন, “এটা ন্যায়সঙ্গত নয়। আমাদের রাশিয়া থেকে যেকোনো ধরনের জ্বালানি আমদানি বন্ধ করতে হবে।”
পুতিনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জেলেনস্কি জানান, যুদ্ধ চলাকালীন তিনি রাশিয়া যেতে রাজি নন। বরং তিনি প্রস্তাব দেন, পুতিন যদি চান তবে কিয়েভে আসতে পারেন। তবে তিনি নিজেই স্বীকার করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট তার বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে থাকায় এ সম্ভাবনা কার্যত নেই।
জেলেনস্কির ভাষায়, “আমার দেশ প্রতিদিন ক্ষেপণাস্ত্র ও হামলার মুখে থাকাকালে আমি মস্কো যেতে পারি না। পুতিনও এ বিষয়টি জানেন এবং বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বৈঠক এড়িয়ে যান।”
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বা ত্রিপক্ষীয়— যেকোনো ধরনের বৈঠকের জন্য তিনি প্রস্তুত, তবে রাশিয়ায় নয়। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, পুতিনকে বিশ্বাস করা যাবে না, কারণ তিনি “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলা করছেন।”
আমার বার্তা/জেএইচ