স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি কমাতে নতুন এক উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে জাপানের টোয়োয়াকে শহর। দিনে ২ ঘণ্টার বেশি সময় স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করতে আইন করতে চাচ্ছে শহর কর্তৃপক্ষ। পাস হলে আগামী অক্টোবরেই এই আইন কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদন মতে, স্মার্টফোন ছাড়া আধুনিক জীবন কার্যত অচল। কিন্তু স্মার্টফোনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার বড় সংকট হয়ে উঠেছে। স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবন ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার ফলে শারীরিক ব্যথা, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়।
এই আসক্তি রোধে এবার আইন করতে চলেছে জাপানের টোয়োয়াকে শহর। এরই মধ্যে এ নিয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে টোয়োয়াকে মিউনিসিপ্যাল সরকার। আইনপ্রণেতাদের অনুমোদন পেলেই আইনটি কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে দিনে ২ ঘণ্টা স্মার্টফোন ব্যবহারের অনুমতি পাবে শহরটির ৬৯ হাজার বাসিন্দা। তবে এটি পালনে বাসিন্দাদের বাধ্য করা হবে না।
টোয়োয়াকে শহরের মেয়র মাসাফুমি কোকি বলছেন, এই প্রস্তাব কাজ ও পড়াশোনার সময় প্রযোজ্য নয়। এছাড়া কঠোরভাবে এটি কার্যকর করা হবে না। আইন না মানলে শাস্তির কোনো বিধান নেই। শুধু মানুষদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য আইনটি করা। প্রশাসন চায়, স্মার্টফোনে সময় নষ্ট না হোক।
মাসাফুমি কোকি বলেন, ‘এটাই আমাদের সমাজের পরিবারগুলোর সুযোগ। তারা এবার স্মার্টফোন ব্যবহার করা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববে। তারা দিনে কতক্ষণ সময় নষ্ট করছে, সেটি নিয়ে এখন অবগত হবে। এ ছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও এ ব্যাপারে সচেতন করতে পারবে।’
তবে রান্না, ব্যায়াম, অনলাইন শিক্ষা কিংবা ই-স্পোর্টসের সময় এই ২ ঘণ্টার মধ্যে নয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে, যারা স্মার্টফোন ছাড়া স্কুলে যেতে চায় না। তাদের জন্য এই আইন প্রযোজ্য। এমনকি বয়স্করাও ঘুমোনার সময় স্মার্টফোনে সময় দিচ্ছেন, পরিবার সময় কম পাচ্ছে। রাত ৯টার পর শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
আমার বার্তা/এল/এমই