যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই কিয়েভকে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে রাশিয়া। বিনিময়ে মস্কোকে ১৯ জন রুশ সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে ইউক্রেন।
মঙ্গলবার এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী এবং অন্যতম মুখপাত্র ভ্লাদিমির মেডিনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় জানিয়েছেন এ তথ্য।
প্রসঙ্গত, গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি সংলাপ চলছে। সংলাপে রুশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেন মেডিনেস্কি। সম্প্রতি সেই সংলাপে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
টেলিগ্রাম পোস্টে মেডিনেস্কি জানিয়েছেন, তাদের মূল লক্ষ্য ইস্তাম্বুলের এই সংলাপকে ‘ইস্তাম্বুল চুক্তি’-তে উন্নীত করা। মরদেহ হস্তান্তরের সিদ্ধান্তও সেই আলোকেই নেওয়া হয়েছে।
গত মে মাস থেকে শান্তি সংলাপ শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে। সংলাপ শুরুর ১ মাসের মধ্যে, ২ জুন প্রথমবার যুদ্ধে নিহত সেনাদের মরদেহ এবং জীবিত যুদ্ধবন্দিদের বিনিময়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় মস্কো ও কিয়েভ। সেবার ৬ হাজার করে মোট ১২ হাজার সেনার মরদেহ এবং ১ হাজার করে মোট ২ হাজার জীবিত যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। পরে জুলাইয়ের শেষ দিকে আরও ১ হাজার ২০০ জন করে মোট ২ হাজার ৪০০ জন যুদ্ধবন্দি বিনিময়ে সম্মত হয় যুদ্ধরত দুই প্রতিবেশী দেশ।
চলমান এই সংলাপের ধারবাহিকতায় এখন আলাদাভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবসান ইস্যুটিও। ২০২২ শুরু হওয়া এই যুদ্ধ অবসানে মধ্যস্থতার ভূমিকা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এ ইস্যুতে বৈঠকও করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সূত্র : আরটি