আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) রাশিয়া নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা’ দেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। তবে কি ঘোষণা দেবেন তা বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন ও মিসাইল হামলায় জুন মাসেই প্রাণ গেছে ২৩২ জনের, যা তিন বছরে বেসামরিক প্রাণহানির সর্বোচ্চ রেকর্ড।
আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনকে আবারও অস্ত্র সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। রোম সম্মেলনে ইউক্রেন পুনর্গঠনে ঘোষণা এসেছে ১০ বিলিয়ন ইউরোর সহায়তা। মস্কো বলছে, তারা এখনও ইউক্রেনের তৃতীয় দফা আলোচনার সংকেতের অপেক্ষায়।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আরও আটটি শহরে একযোগে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, অন্তত ৪০০ ড্রোন ও ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে হামলায়। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, কিয়েভের ‘সামরিক-শিল্প কারখানা’ ও বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে তারা।
তবে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে দাবি তাদের। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, শুধু জুনেই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন ২৩২ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৩৪৩। ২০২২ সালের এপ্রিলের পর যা সর্বোচ্চ।
রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল ব্রায়ানস্ক, বেলগোরদ ও কুরস্কে অন্তত ৪৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন, গুলি করে ভূপাতিত করার দাবি করেছে মস্কো। অন্যদিকে খারকিভে রুশ ড্রোন হামলায় একদিন বয়সী শিশু ও তার মা হাসপাতালে আহত হন, ভেঙে পড়ে প্রসূতি ও সার্জারি ইউনিট। ওডেসায় ঘোড়াশালেও হামলা চালায় রাশিয়া।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই ইউক্রেন পুনর্গঠনে রোম সম্মেলনে ১০ বিলিয়ন ইউরো সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় নেতারা। একইসঙ্গে, যুক্তরাজ্যও ইউক্রেনকে ৫ হাজারের বেশি এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সরবরাহে চুক্তি করেছে। ন্যাটোর মাধ্যমে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ও মাঝারি পাল্লার রকেট পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র দফতরের ১৩০০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করছে ট্রাম্প প্রশাসন
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এনবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, তিনি রাশিয়ার আচরণে ‘হতাশ’। এছাড়া রাশিয়ার বিষয়ে বড় ধরনের ঘোষণা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। সোমবার সেই ঘোষণার কথা থাকলেও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি হোয়াইট হাউস।
এ অবস্থায় এই ঘোষণার অপেক্ষায় ক্রেমলিন। মস্কো বলছে, তারা এখনও ইউক্রেনের সঙ্গে তৃতীয় দফা শান্তি আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা স্পষ্ট না হওয়ায় অচলাবস্থাই চলছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করছে, ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বৈত বার্তা তাদের জন্য কূটনৈতিক অসুবিধা তৈরি করছে।
আমার বার্তা/এল/এমই