ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর রোববার (২২ জুন) উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ইসরায়েল। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল থেকে এ খবর জানা গেছে।
বেসামরিক নীতিমালা হালনাগাদ করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ-এর হোম ফ্রন্ট কমান্ড ঘোষণা করেছে, দেশব্যাপী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং সব রকম জমায়েত নিষিদ্ধ করা হলো। অতি প্রয়োজনীয় ব্যবসা কেবল চালু থাকবে। এসব আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে ঘোষণায় জানানো হয়।
শনিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা নাতানজ, ইসফাহান এবং ফোর্দোতে হামলার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজেই ইরানকে দু সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়ার দুদিন পরই হামলা করে বসেন তিনি।
ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিমকে দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষের হামলায় ফোর্দোর একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষতির ব্যাপ্তি সম্পর্কে ইরানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
ওভাল অফিস থেকে সম্প্রচারিত জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া তিন মিনিটের এক ভাষণে তিনি বলেন, হামলাটি ছিল অসাধারণ সামরিক সাফল্য। তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের প্রধান অবকাঠামো পুরো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
ইরানের সামনে শান্তি অথবা ট্র্যাজেডির পথ খোলা রয়েছে বলে সতর্ক করে ট্রাম্প জানান, হামলা করার জন্য আরও লক্ষ্যবস্তু রয়েছে। শিগগিরই শান্তি না এলে আমরা ক্ষিপ্রতা, দক্ষতা এবং নৈপুণ্যের সঙ্গে সেখানে হামলা চালাবো।
হামলার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সাহসী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাষ্ট্রকে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইতিহাসের পাতায় এটি লেখা থাকবে।
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি হামলা থেকে চলমান সংকটের সূচনা। তেল আবিবের দাবি, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে এই অভিযান চলছে। অপরদিকে, বরাবরের মতো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কথা অস্বীকার করে এসেছে ইরান।
ইরানি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চলমান হামলায় অন্তত ৪৩০ জন মানুষ নিহত এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি আহত হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
আমার বার্তা/জেএইচ