মিডিয়ায় যুদ্ধের খবর কতটুকু যাবে ঠিক করে দিল ইসরায়েল

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৫, ১২:০৪ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে কী সংবাদ যাবে, কোন ধরণের ভিডিও দেখানো যাবে বা সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া যাবে তা ঠিক করে দিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এ নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, গত বুধবার ইসরায়েলের ব্রিগেডিয়ার কোবি মেনডেব্লিট নির্দেশনাটির ঘোষণা দেন। যেখানে বলা আছে, ইসরায়েলের সাংবাদিকরা কী প্রচার করতে পারবে, কী প্রচার করতে পারবে না।

সাংবাদিকতা ও সংবাদ প্রচারে এর আগেও ইসরায়েলে বিধিনিষেধ ছিল। কিন্তু ইরানের সাথে সংঘাতকে সামনে রেখে নতুন করে নির্দেশনা দিল দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী। নির্দেশনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাইসিং লায়ন।’ যাকে দেশটির সরকার বলছে ‘মিডিয়া কভারেজের গাইডলাইন।’

নির্দেশনায় সেসব সংবাদের বা ভিডিওর প্রতি সাংবাদিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় যা ‘শত্রুকে সাহায্য করে’ এবং ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তার হুমকি’ হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী সাংবাদিক ও সম্পাদকরা ইসরায়েলের কোনো আক্রান্ত এলাকার ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন না। বিশেষ করে সামরিক স্থাপনা তো নয়ই।

ড্রোন দিয়ে আক্রান্ত এলাকার ছবি নেওয়া যাবে না। নিরাপত্তাসংক্রান্ত এলাকার ছবি নেওয়া যাবে না। এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা যাবে না।

নির্দেশনায় আছে, এ ধরনের সংবাদ, ছবি ও ভিডিও প্রয়োজনে সরকারকে দেখিয়ে তারপর প্রচার করতে হবে। এছাড়া ‘শত্রুর তৈরি করা ভুয়া সংবাদ’ নিয়ে সতর্ক থাকার কথাও আছে নির্দেশনায়। এরই মধ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছে। হাইফা এলাকায় ছবি নেওয়ার সময় একাধিক ফটো সাংবাদিককে আটক করেছে সেনাবাহিনী।

২০২৩ সালে গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। গণমাধ্যমের ওপর এ নিয়ন্ত্রণকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সাথেও মেলানো হয়েছে। দেশটির চোখে ‘সন্ত্রাসী প্রচার’ যিনি করবেন তিনি ‘সন্ত্রাসের সাথেই জড়িত।’

রিপোর্টার্স সানস ফ্রন্টিয়ার্স (আরএফএস) এর বিশ্ব গণমাধ্যম ইনডেক্স অনুযায়ী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ১৮০টি দেশের মধ্যে ইসরায়েলের অবস্থান ১১২তম যা হাইতি, গায়ানা, দক্ষিণ সুদানেরও পেছনে।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট (আইএফজে) জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ১৬৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করেছে।


আমার বার্তা/জেএইচ