ইরান সরকার পতনের ইচ্ছা ইসরায়েলের নেই: ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫, ১১:০৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

ইরানে সরকার বা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চায় না ইসরায়েল। এমনটাই জানিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার। এছাড়া ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করার কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েল নেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৬ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানে সরকারের পতন ঘটানো বা নেতৃত্ব বদলের কোনো ইচ্ছা ইসরায়েলের নেই বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিই কি ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের টার্গেট হতে পারেন? জবাবে সার বলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা নেয়নি।

তিনি বলেন, “নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যে লক্ষ্যে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নেতৃত্ব বদলের উদ্দেশ্যে নয়। ইরানের ভবিষ্যৎ ইরানি জনগণই ঠিক করবে। আমরা ইসরায়েলিরা ইরানিদের শত্রু হিসেবে দেখি না। ১৯৭৯ সালের আগে, ইসলামী বিপ্লবের আগে পর্যন্ত ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক ছিল। বিপ্লবের পর একটি বর্বর শাসন ক্ষমতায় আসে, যারা এখন ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই, ইসরায়েলের মৃত্যু চাই’ বলে স্লোগান দেয়।”

পূর্ববর্তী একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছিল, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উপস্থাপন করেছিল ইসরায়েল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই পরিকল্পনা নাকচ করে দেন বলে জানা যায়।

সারের এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয়, ইসরায়েল বর্তমানে কৌশলগতভাবে সামরিক অভিযান চালালেও, সরাসরি ইরানের সরকার পতনের চেষ্টা করছে না।

অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার একটি পরিকল্পনায় সায় দেননি বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস। তারা বলছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ওই পরিকল্পনা সামনে এনেছিলেন।

তিনটি সূত্র সিবিএস-কে জানায়, গত শুক্রবার ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্পের মধ্যে একটি আলোচনা হয়, যেখানে ট্রাম্প খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনাকে ভালো সিদ্ধান্ত মনে করেননি। তবে ট্রাম্প এ বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

একই বিষয়ে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু রয়টার্সের প্রতিবেদনটি সরাসরি অস্বীকার বা স্বীকার কোনোটিই করেননি, যেখানে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছিলেন।

নেতানিয়াহু বলেন, “অনেক কথোপকথন নিয়েই ভুল প্রতিবেদন আসে, যেগুলো আসলে ঘটেইনি। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। তবে আমি এটুকু বলব, আমরা যা করার দরকার, তা করব। এবং আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রও তাদের স্বার্থ ভালো বোঝে। তাই আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলছি না।”


আমার বার্তা/জেএইচ