সাগরে ২ নৌকাডুবিতে চার শতাধিক রোহিঙ্গার মৃত্যুর শঙ্কা জাতিসংঘের
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ১৮:১৪ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

সাগরে গত ৯ ও ১০ মে দুই নৌকাডুবির ঘটনায় মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের অন্তত ৪২৭ জন মারা যেতে পারেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই আশঙ্কা সত্যি হলে, এটি হবে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীটির জন্য আরেকটি বড় প্রাণঘাতীর ঘটনা। খবর আল জাজিরার
গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) কার্যালয় জানায়, যদি এ তথ্য নিশ্চিত হয়, তবে চলতি বছর রোহিঙ্গা শরণার্থী সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে প্রাণঘাতী সাগরদুর্ঘটনা হবে এটি।
সংস্থাটি বলছে, চলতি মাসের শুরুতে মিয়ানমার উপকূলে নৌকাডুবির দুটি ঘটনা ঘটে। মরণঘাতী এসব ঘটনায় জাতিসংঘ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনাস্থল শনাক্ত করার জন্য এখনও কাজ চলছে।
জাতিসংঘের প্রাথমিক তথ্য বলছে, গত ৯ মে ২৬৭ জন যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়, এর মধ্যে ৬৬ জন বেঁচে যান। ১০ মে ২৪৭ জন রোহিঙ্গাসহ দ্বিতীয় নৌকাটি ডুবে যায়, সেখানে বেঁচে যান ২১ জন যাত্রী ।
বিবৃতিতে বলা হয়, মারা যাওয়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের অথবা মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্য রাখাইন থেকে পালাচ্ছিলেন।
কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। প্রতি বছর রোহিঙ্গাদের হাজারো মানুষ প্রাণ বাঁচাতে ঝুঁকি নিয়ে দেশটি থেকে নাজুক নৌকায় সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে ইউএনএইচসিআরের হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, এ দুই মর্মান্তিক খবর ‘রোহিঙ্গাদের চরম দুর্দশার একটি স্মারক এবং বাংলাদেশে শরণার্থীরা যে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছেন, তার প্রতিফলন; যেহেতু মানবিক সহায়তা ক্রমেই কমে আসছে।’
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের পর রাখাইন রাজ্য থেকে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
আমার বার্তা/এমই