ইউক্রেনে আশ্রয় কেন্দ্র শীত থেকে বাঁচতে 

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৭:১৩ | অনলাইন সংস্করণ

  অনলাইন ডেস্ক:

ফাইল ছবি

রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সামান্য বা কোন বিদ্যুৎ ছাড়াই শীতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনীয়রা, যেখানে তাপমাত্রা ইতিমধ্যে হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে ইউক্রেনের সরকার একাধিক পদক্ষেপের উদ্যোগ নিচ্ছে ৷ জ্বালানি সাশ্রয় ও বিকল অবকাঠামো যতটা সম্ভব দ্রুত মেরামতির চেষ্টার পাশাপাশি সারা দেশে বিশেষ আপদকালীন আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলার ঘোষণা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ৷

মঙ্গলবার রাতে দৈনিক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ‘ইনভিনসিবিলিটি সেন্টার' গড়ে তোলার ঘোষণা করেন ৷ সেখানে বিদ্যুৎ, পানি, উত্তাপ, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সংযোগ থাকবে ৷ নাগরিকরা বিনামূল্যে দিনরাত সেই কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারেন ৷ সেখানে প্রয়োজনীয় ওষুধও পাওয়া যাবে ৷ রাশিয়া আবার হামলা চালালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এমন কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন৷

ইউক্রেনের জাতীয় পাওয়ার গ্রিডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাশিয়ার হামলার ফলে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখতে হচ্ছে৷ এমন লোডশেডিং-এর সময়ে এক কোটি গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হচ্ছে৷ কমপক্ষে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত পরিস্থিতির উন্নতির কোনো সম্ভাবনা দেখছে না ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ ৷

এদিকে, ইউক্রেনের আরও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পশ্চিমারা ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন মঙ্গলবার ২৫০ কোটি ইউরো হস্তান্তর করেছে ৷ এছাড়াও আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার পাবে বলে আশা করছে ৷ সেইসঙ্গে রাশিয়ার উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব ৷

ইউরোপের ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স হেনরি পি ক্লুগে বলেছেন, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর অর্ধেক হয় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এটি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং জনগণের স্বাস্থ্যের উপর ব্যপক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।

কিয়েভে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি সতর্ক করেছিলেন, এই শীতকাল হবে ইউক্রেনীয়দের বেঁচে থাকার লড়াই। কেননা জ্বালনি সঙ্কট, এই শীতকে ইউক্রেনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং ইউক্রেনীয় জনগণের জন্য একটি ভয়ঙ্কর পরিস্তিতি তৈরী করবে। তারা অনন্য স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে, যার মধ্যে রয়েছে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ যেমন কোভিড -১৯, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডিপথেরিয়া এবং হামের গুরুতর ঝুঁকি তৈরী হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এমন পরিস্থিতির কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, উষ্ণতা এবং নিরাপত্তার সন্ধানে ৩০ লাখ ইউক্রেনীয় তাদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে


এবি/ইজা