উত্তর কোরিয়ায় বিদেশি সিনেমা দেখলেই দেয়া হয় মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:০৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

কড়া আইনের জন্য উত্তর কোরিয়া বেশ আলোচিত। দেশটিতে বিদেশি সিনেমা কিংবা ওয়েবসিরিজ দেখলেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এমন কড়াকড়ি নিয়ম বহুদিন ধরেই চলছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা গেছে।

উত্তর কোরিয়া বিশ্বের অন্যান্য দেশের থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। আইন-কানুনও বিচিত্র। অনেক দিন থেকেই বিদেশি সিনেমা-ড্রামা প্রচারের বিষয়টি নিয়ে সেদেশের নাগরিকদের দেয়া হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফোলকার টুর্ক এক সতর্কবার্তায় বলেছেন, উত্তর কোরিয়ায় এভাবে চলতে থাকলে সেখানকার মানুষদের পরিণতি আরও খারাপের দিকে যাবে; দীর্ঘদিন ধরে যে নিপীড়ন সহ্য করে আসছিল, তার বাড়তেই থাকবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে গত ১০ বছরে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে আসা ৩০০-রও বেশি মানুষের বিবৃতির ভিত্তিতে। ২০১৯ সালের পর পালিয়ে আসা লোকেরা জানান, ২০২০ সাল থেকে বিদেশি কনটেন্ট বিতরণের জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংখ্যা বেড়ে গেছে। তারা বলেন, এসব মৃত্যুদণ্ড জনসমক্ষে গুলি করে কার্যকর করা হয়, যাতে জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয় এবং কেউ আইন ভঙ্গ না করে।
 
প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের পর থেকে অন্তত ছয়টি নতুন আইন চালু হয়েছে, যেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো— বিদেশি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজের মতো কনটেন্ট দেখা বা শেয়ার করা। এর কারণ, কিম জং উনের লক্ষ্য, জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির পথ যতটা সম্ভব, তা কঠোরভাবে সীমিত করে দেয়া।

আমার বার্তা/এল/এমই