অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:০৮ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা-২০২৫ প্রকাশ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিক পরীক্ষার সামষ্টিক ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হবে। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি প্রয়োজনে অংশগ্রহণের হার পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।

পরীক্ষার কাঠামো

বাংলা, ইংরেজি ও গণিত প্রতিটি বিষয়ে ১০০ নম্বর এবং বিজ্ঞান ৫০ ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৫০ নম্বরসহ মোট ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা, তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় পাবেন। প্রশ্নপত্র প্রণীত হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক অনুসারে।

বৃত্তির ধরন ও ফি

শিক্ষার্থীদের ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ–এই দুই ধরনের বৃত্তি দেয়া হবে। পরীক্ষার্থীপ্রতি বোর্ড ফি ৪০০ টাকা এবং কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রী এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে এক পক্ষের আসন অপর পক্ষের মাধ্যমে পূরণ করা যাবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও যোগ্যতা

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি একটি বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, তবে তার আগের বিদ্যালয়ের মেধাক্রমের ভিত্তিতে নতুন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নয়, এমন কেউ পরীক্ষায় অংশ নিলে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই শিক্ষার্থীর প্রার্থিতা বা ফল বাতিল করা হবে।

নীতিমালা প্রকাশের মাধ্যমে এবার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা আরও কাঠামোবদ্ধ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আমার বার্তা/এল/এমই