৩২৯ টেকনিক্যাল স্কুল নির্মাণে মেয়াদ ৩ বছর বাড়ছে, সনদ পাবে ৩.৫৫ লাখ শিক্ষার্থী

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ | অনলাইন সংস্করণ

  অনক আলী হোসেন শাহিদী

“কারিগরি শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে দেশে শিল্পের বিপ্লব-তথা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ অর্জন সম্ভব। সম্ভব বেকারত্ব কমিয়ে আনা”- এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ নির্মিত হচ্ছে। উক্ত নির্মাণ কার্যক্রম শেষ হলে ৬ষ্ঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অধ্যায়ন শেষে বছরে ৩ লাখ ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী-উচ্চ মাধ্যমিক সনদ পাবে। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

“দেশব্যাপী কর্মমুখী শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের মেয়াদ আরো ৩ বছর বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। - ডঃ খ ম কবিরুল ইসলাম- সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ

শিক্ষা মন্ত্রনালয় নিয়ন্ত্রানাধীন -কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কার্যক্রম অনুসন্ধান করে জানা যায়- কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে - উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টি স্কুল ও কলেজ স্থাপন (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ৩২৯ টি -টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করে। প্রকল্পটি ২০২০ সালের ২০ জানুযায়ী শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে সমন্বিত প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা তৈরী হওয়ার প্রকল্পের ইতিবাচক অগ্রগতি সম্ভব হয়নি। উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল ও কলেজ স্থাপন প্রকল্পের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার নতুন করে ২০২৫ সালের ২৪ এপ্রিল মোঃ শাখাওয়াত হোসেন নামের একজন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দিয়েছেন। যুগ্ম সচিব পদ মর্যাদার ঐ প্রকল্প পরিচালক প্রকল্পের নানা দিক পর্যালোচনা করে সব কাজ দিক দ্রুত নিতে এগিয়ে কাজ করছেন। দেশের ৩২৯টি উপজেলায়- কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে- সরকারের এই জনগুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন কি কি কাজ করছেন- নানা সূত্র থেকে সেই কাজের খোঁজ নেয়ার চেস্টা করেছি।  প্রকল্পটির চলমান কাজ সর্ম্পকে সূত্রটি জানিয়েছে-  প্রকল্প পরিচালক দায়িত্ব গ্রহনের পরে চলমান প্রকল্পের কার্যক্রমের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজগুলো ও পরিদর্শন দ্রুত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদেরকে উৎসাহিত করছেন। এর ফলে ৬টি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে এবং ২৩ টি প্রতিষ্ঠানের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ স¤পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক সংশ্লিষ্ট উপলোর উপজেলা প্রশাসন ও  জেলা প্রশাসনের সাথে-উপজেলার ভূমি অধিগ্রহন সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করছেন-যাতে দ্রুত ভূমি অধিগ্রহন কার্যক্রম শেষ করা যায়। এছাড়া যে সব অঞ্চলে ভূমি অধিগ্রহন শেষ হয়েছে - সে সব অঞ্চলে দ্রুত নির্মান কাজ শুরু করতে দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর-জেলা কার্যালয়- দরপত্র আহবানও বাস্তবায়নের কাজ করছেন।-প্রকল্পটির ব্যায় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে গত ৩০ জুন-২০২৫ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১০৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯ টি স্কুল ও কলেজ নির্মান প্রকল্পের ৩ টি পর্যায় রয়েছে। । এ পর্যায়গুলো হচ্ছে- ভূমি অধিগ্রহন, নির্মান কার্যক্রম ও আসবাবপত্র সরবরাহ । ধারাবাহিক ভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির জনগুরুত্ব বিবেচনা করে প্রকল্পের মেয়াদ জানুয়ারী-২০২৬ থেকে ৩ বছর বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ডঃ খ ম কবিরুল ইসলাম- এই প্রতিনিধিকে দেয়া এই এক সাক্ষাৎকারে বলেন- “দেশব্যাপী কর্মমুখী শিক্ষাকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পের মেয়াদ আরো ৩ বছর বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। প্রকল্পটির কার্যক্রম দ্রুত সম্প্রসারন স¤র্পকে সংশিষ্ট প্রকল্প পরিচালক মোঃ শাখাওয়াত হোসেন- এই প্রতিনিধিকে বলেন তিনি প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে সম্ভব সবরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

প্রকল্প এলাকার নানা সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে- এ প্রকল্পে সারা দেশে ভূমি অধিগ্রহণের একই মূল্য ধরায় প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহন কষ্টকর হচ্ছে। কারন এলাকার বানিজ্যিক ও বাস্তবিক গুরুত্ব অনুসারে ভূমির মূল্যের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। কোন কোন অঞ্চলে ভূমির মূল্য একই থাকলেও অধিকাংশ অঞ্চলে  ভূমির বাস্তব মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় ভূমি অধিগ্রহন অনেকটা ধীর গতিতে চলছে। এ বাস্তব বিষয়টি বিবেচনায় আনতে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী- শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রনালয়কে ভাবতে অনুরোধ করেছে।

আমার বার্তা/জেএইচ