এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক-স্যানিটাইজার
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫, ১১:৩৮ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক জরুরি নির্দেশনায় এসব কথা বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আদেশ দেশের সব জেলার প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের দফতরে পাঠানো হয়েছে।
জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশেষভাবে কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে কেন্দ্রের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কেন্দ্রের ভেতরে ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং পরীক্ষা শুরুর আগে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষা কক্ষের আসন বিন্যাস যথাযথভাবে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী করতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মেডিকেল টিম সক্রিয় রাখতে হবে এবং সিভিল সার্জন বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে জনসচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে হবে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকদের ভিড় বা জটলা এড়াতে প্রচারণা চালাতে হবে।
নির্দেশনায় পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবার প্রতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বোর্ডের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে ২৬ জুন এবং চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, দেশে ২০২০ সালের শুরুর দিকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর একাধিক দফায় সংক্রমণ বেড়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করলেও সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় সেগুলোর অনেকটাই শিথিল করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণ আবার কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় সরকার নতুন করে সতর্কতা নেয়ার তাগিদ দিচ্ছে।
আমার বার্তা/এল/এমই