সবজির বাজারে নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৩৬ | অনলাইন সংস্করণ

  ওসমান গণি

ফাইল ছবি

রাজধানীর বাজারে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। চড়া সবজির বাজারে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস নেমে আসছে। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য সবজির বাজার একধরণের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। দিন দিন নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। দাম বাড়ে, কিন্তু কমেনা; এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

সরেজমিনে রাজধানীর ধুপখোলা বাজার, দয়াগঞ্জ বাজার ঘুরে যেসব চিত্র দেখা গেছে। মণিজা রহমান গার্লস স্কুল এণ্ড কলেজের কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগে বাজারে আসলে ব্যাগ ভরে বাজার করে নিয়ে আসতাম। আর এখন ব্যাগই ভরেনা। বাজার দর নিয়ন্ত্রন এখন ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেছে। তাদের মনমত দাম চায়।

গৃহকর্মী বানু আক্তার বলেন, আমাগ দেহনের কে আছে। এহন যে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে । আমাগ খাওন আর কপালে জোটেনা। আবার নাকি শুনলাম বাসার  ভাড়া দাম বাড়াইবো আর ঢাহা শহর থাহন লাগবো না।

বাজারে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, রসুন ১২০-১৩০ টাকা ও আদা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পটল ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, শিম ১০০-১২০ টাকা, টমেটো ও গাজর ১৪০ টাকা, বরবটি ৯০-১০০ টাকা, করলা ৬০-৬৫ টাকা, ফুলকপি প্রতি জোড়া ১৩০ টাকা, বাঁধা কপি ৬০ টাকা, লাউ ৪০-৭০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, মানভেদে কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দয়াগঞ্জ বাজার সবজি বিক্রেতা শাহজালাল মিয়া বলেন, আমরা আড়ৎ থেকে যে দামে কিনে আনি তা বিক্রি করে তেমন একটা লাভ করেতে পারি না। তারপরও সাধ্যমত অনুযায়ী বেচাবিক্রি করি।

রিকশাচালক জয়নুল বলেন, ঢাহা শহর কতদিন ধরে থাকি, এমন কষ্ট করে আর কখনও থাকি নাই। জিনিসপত্তের দাম আমগো লাইগা বাড়ছে, গরিবের পেটে লাঠি মারা কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর কাজ। বউ বাচ্চাগ আগে ঢাহা শহরে রাখছিলাম , এহন দেশে থুইয়া আইছি। তারপর ও খাওন জোটে না। এমনে জিনিসপত্তর দাম বাড়লে কী করমু আমরা। 

পল্টনে ভ্যানে সবজি বিক্রেটা রহিম মিয়া বলেন, আমরা বেশি দামে বিক্রি করিই ঠিকই লাভ আর করতে পারি না। লাভ করে এহন কারা সবাই জানি , কিন্তু বললে তো আবার ব্যবস্যা বন্ধ হইব।

আমার বার্তা/এপি