শুল্ক কমার খবরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত থেকে চাল আমদানি। একদিনেই ভারত থেকে এসেছে ৭৬ ট্রাক চাল। এদিকে বন্দরে আটকে থাকা চাল পুরোদমে খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চালের আমদানি শুরু হয়। তবে শুল্ক জটিলতায় বন্দরে ৭ দিন চাল খালাসের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালের শুল্ক ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) নির্ধারণ করে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক রবিউল হাসান মনির বলেন, ‘সরকার চাল আমদানির অনুমতি দেয়ার পর ১২ আগস্ট থেকে আমদানি শুরু করি। তবে চাল আমদানির পর ডিউটি নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। সেই সমস্যা কেটে গেছে। এরপর থেকে বন্দরে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছে। যেহেতু শুল্কে আর কোনো সমস্যা নেই, তাই আমদানির পরিমাণ আরও বাড়বে।’
আরেক আমদানিকারক জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে শম্পা কাঠারি সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চিকন চাল আমদানি করা হচ্ছে। তবে এখনো প্রত্যাশিত পরিমাণ পাইকার আসেনি। চিকন জাতের চাল আমদানি মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৫৫০ মার্কিন ডলার। বন্দরে আসার পর প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৭১ টাকা, আর তা বিক্রি করা হচ্ছে ৭১ টাকা ৫০ পয়সায়।
পাবনা থেকে চাল কিনতে হিলি বন্দরে আসা মোবারক হোসেন বলেন, ‘যখন চাল আমদানি হয়, তখন আমরা বিভিন্ন বন্দর থেকে কিনে দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করি। হিলিতে এসে দেখি আমদানিকারকরা তুলনামূলক বেশি দাম চাইছেন। দামে ছাড় না দিলে কেনা সম্ভব না। চিকন চালের দাম ৭১ থেকে ৭২ টাকা চাইছে। যদি ৭০ টাকায় পাওয়া যেত, তাহলে হয়তো কেনা যেত।’
এদিকে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ ঠিক রাখতে আমদানিকৃত চাল বন্দর থেকে শুল্কায়ন শেষে দ্রুত ছাড় করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সরকার চাল আমদানিতে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্কের পরিবর্তে মাত্র ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর নির্ধারণ করেছে। যাতে ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত চাল কম দামে দ্রুত বাজারে সরবরাহ করতে পারেন।’
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ১৬৮ ট্রাকের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু মঙ্গলবার একদিনেই এসেছে ৭৬ ট্রাক চাল।
আমার বার্তা/এল/এমই