মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ কাটেনি, বাড়ি ভাড়া-নিত্যপণ্যের দামে অস্বস্তি

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ১৯:২১ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

গত কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবে এখনো উদ্বেগ রয়ে গেছে। মূলত চালের দাম, বাড়ি ভাড়া, পোশাক ও তামাক পণ্যের কারণে মূল্যস্ফীতিতে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ এসব খাতে খরচ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশে পৌঁছায়। তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে শীতকালীন সবজির কারণে মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। ১২ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত ফেব্রুয়ারিতে এক অংকে নেমে আসে। মার্চেও এ ধারা অব্যাহত থাকে। মার্চ মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

বুধবার (৭ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মাসিক ইকোনমিক আপডেট ও আউটলুক প্রকাশ করে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিতে প্রধান অবদান ছিল খাদ্য খাতে ৪২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর পরে মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী গৃহায়ন (বাড়ি ভাড়া) ১৩ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এছাড়া পোশাক ও জুতা ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতিতে ভূমিকা রাখে।

বিস্তৃত শ্রেণি অনুসারে সাধারণ মূল্যস্ফীতিতে প্রধান অবদান রাখে চাল ১৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এছাড়া মূল্যস্ফীতিতে মাছ ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং শাকসবজি ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ অবদান রাখে। তবে মৌসুমি সবজির দাম কম থাকায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতি কমিয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরিবহন, শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি খাতকেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হয়েছে।

জিইডি সদস্য (সচিব) ড. মনজুর হোসেন বলেন, বিগত সময়ে দেখা গেছে খাদ্যের কারণে মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল। তবে সব থেকে বেশি দায়ী চাল। আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দেশে বন্যা ছিল। এতে চালের উৎপাদন কমে যায়। ফলে চালের দামও বাড়তি ছিল। এছাড়া বাড়ি ভাড়া, পোশাকের কারণেও মূল্যস্ফীতি বাড়তি ছিল। তবে এটা ধীরে ধীরে কমে আসছে।

শহর থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বাড়তি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূলত সাপ্লাই চেইন সঠিকভাবে না হওয়ার কারণেই শহরের থেকে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়ে থাকে।


আমার বার্তা/এমই