আগামী নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ এটাই সরকারের প্রতিশ্রুতি: শফিকুল আলম

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৬:১৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে-এটি শহীদদের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই সরকারের প্রস্তুতি বাড়ছে। পুরো জাতি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় রয়েছে।

রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে সাভারের মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শহীদ শিক্ষার্থী শাকিল হোসেন পারভেজ ও আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহ’র নামে একটি চত্বর ও লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে শহীদদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা কেনা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক। জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা আমরা ভুলিনি। শহীদদের স্মরণে আমাদের অঙ্গীকার-দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।

তিনি আরও যোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আমরা আলোচনা করেছি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উচ্চপর্যায়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তাকর্মীদের বডি ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে, যাতে কেন্দ্রের অবস্থা সরাসরি মনিটরিং করা যায়।

সরকারি কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা জনগণের অধিকার খর্ব করে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে শক্তিশালী করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কেবল প্রমাণিত অভিযোগযুক্ত ব্যক্তিদেই শাস্তি দেওয়া হবে।

শহীদদের স্মরণে তিনি বলেন, শহীদ শাকিল ও আহনাফের আত্মার শান্তি কামনা করি। তারা আমাদের যে পথ দেখিয়েছেন, তা থেকে বিচ্যুত হব না। তাদের স্বপ্ন ছিল-ভোটচুরি ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ। আমরা তা বাস্তবায়ন করব।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুর রবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. মতিউর রহমান আকন্দ। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা মো. আবু সাদিক কায়েম।


আমার বার্তা/এমই