৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি চরমে
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫০ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন

ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এদিকে টানা বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে চলাচল করা মানুষদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বর্ষণে শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র।
আবদুর রহমান ফারহান নামে পৌর হকার্স মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, সকাল থেকে দোকানে পানি ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। গেল বছরের বন্যার ক্ষতিও এখনো ঠিকভাবে কাটিয়ে উঠতে পারিনি। বর্ষা মৌসুমের আগে যদি শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল করা হতো তাহলে আমাদের এতো ক্ষতির মুখে পড়তে হতো না।
মেহেদী হাসান নামে ছাগলনাইয়ার আবদুল হক ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, দুপুর ২টা থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা। টানা বৃষ্টি আর পানির মধ্য দিয়ে কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাব জানি না। কর্তৃপক্ষ যদি পরীক্ষা স্থগিত করতেন আমরা অনেক উপকৃত হতাম।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পানি বাড়বে। ভাঙন রোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
ফেনী পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন বলেন, অতিবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি নেমে যাবে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ৭টি টিম কাজ শুরু করেছে।
আমার বার্তা/জেএইচ