রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে পড়েছে নীলফামারীর তথ্যসেবা ও ডিজিটাল কেন্দ্রের ফাইবার হোমগুলো। ইন্টারনেট সেবা দিতে তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা মডেম ও মোবাইল ডেটা ব্যবহার করছেন। এতে দশ মিনিটের কাজ করতে সময় লাগছে আধা ঘণ্টারও বেশি। সার্ভারগুলো মেরামত করে দ্রুত কার্যক্রম সচল করার কথা জানিয়েছে জেলা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।
নীলফামারীর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন ইনফো-সরকার প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হয়। জেলার প্রায় অর্ধেক ইউনিয়ন পরিষদে ২০১৬ সালে জেলার ১০ লাখ মানুষের কাছে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা হয়।
তবে সংযোগের দুই বছরেই অকেজো হয়ে পড়েছে তথ্য সেবা ও ডিজিটাল কেন্দ্রের ফাইবার হোমগুলো। যন্ত্রাংশেও জমেছে ধুলার স্তর। বেঁধেছে মাকড়সার জাল। ইন্টারনেট সেবা দিতে তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা মডেম ও মোবাইল ডাটা ব্যবহার করছেন। দশ মিনিটের কাজ করতে সময় লাগছে আধা ঘণ্টারও বেশি।
সেবাপ্রত্যাশীরা বলেন, সার্ভারের সমস্যার কারণে সেবা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। আর তথ্যকেন্দ্রের উদ্যোক্তারা বলেন, মডেম ও মোবাইল ডাটা ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে সেবা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাস্তায় সংস্কার কাজ করার সময় কাটা পড়ে তার। সার্ভারগুলো মেরামত করে দ্রুত কার্যক্রম সচল করার কথা জানিয়েছে জেলা বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ।
নীলফামারী বিটিসিএলের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম বিষু চন্দ্র রায় বলেন, অচল লাইনগুলো সচল করতে কাজ চলমান রয়েছে। অল্পসময়ের মধ্যেই সব লাইন সচল হবে।
উল্লেখ্য, জেলায় ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় ১২ লাখ সুবিধাভোগীকে বিটিসিএলের সুবিধার আওতায় আনা হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই