ভারতের হরিয়ানা থেকে ধরে এনে কোমরে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে নারী-শিশুসহ পাঁচজনকে ত্রিপুরা সীমান্তের ফেনী নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র বিরুদ্ধে। পরে তারা রাতভর নদীর পানিতে ভেসে ভোরে ফেনী নদী সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছান বলে ভাষ্য ভুক্তভোগীদের।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ৬টার দিকে রামগড়ের সীমান্তবর্তী ফেনীর সোনাইপুল এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের পুলিশ হেফজতে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- উমেদ আলী (৪২), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫), তিন কন্যা সন্তান সুমাইয়া (৮), রুম্পা (১২) ও রুমি (১৫)।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেনী নদী সংলগ্ন সোনাইপুল এলাকায় ভেজা কাপড়ে নারী ও শিশুসহ ওই পাঁচজনকে দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে মহামুনি বিওপির বিজিবি সদস্যরা এসে তাদের আটক করে। এ সময় পানিতে ভেসে আসা ব্যক্তিরা জানান ভারতের হরিয়ানা থেকে তাদের ধরে আনে বিএসএফ। এরপর তাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ-মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বুধবার রাতে কোমরে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। সবশেষ নদীতে ভাসতে ভাসতে বৃহস্পতিবার ভোরে কূলে চলে আসেন তারা।
ভুক্তভোগী উমেদ আলী বলেন, হরিয়ানায় আমরা শ্রমিকের কাজ করতাম। সেখান থেকে আমাদের ধরে এনে বুধবার রাত ১২টার দিকে কোমড়ে প্লাস্টিকের বোতল বেঁধে নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। তীরে পৌঁছানোর পর গ্রামবাসী আমাদের উদ্ধার করে। এ সময় সঙ্গে থাকা সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে বিএসএফ।
রামগড়ের সীমান্তবর্তী ফেনীর কূল গ্রামের বাসিন্দা রানা বলেন, সকাল ৬টার দিকে ভেজা কাপড়ে নারী ও শিশুসহ ওই পাঁচজনকে দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেওয়া হয়। পরে মহামুনি বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা এসে তাদের আটক করে।
রামগড় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসমত জাহান তুহিন বলেন, মানবিক কারণে তাদের পাঁচজনকে রামগড় হাই স্কুলে বিজিবি ও পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা বাংলদেশি বলে দাবি করছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৮১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে বিএসএফ।
আমার বার্তা/এমই