ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুইজনকে কুপিয়ে জখম, একজন নিহত

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৫, ১২:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন:

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাতের অন্ধকারে তিনজনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত তিনজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইয়াছিন খালাসি (১৯) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়।

শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানমাত্তা গ্রামের খালের সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে। ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ২টার দিকে মারা যান ওই যুবক।

নিহত ইয়াছিন খালাসি ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের থানমাত্তা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর খালাসির ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানমাত্তা গ্রামের খালের সেতুর ওপর বসে গল্প করছিলেন থানমাত্তা গ্রামের ইয়াছিন খালাসি (১৯), একই গ্রামের ফখরুদ্দিন শেখের ছেলে রায়হান শেখ (২৪) এবং এলাকায় বেড়াতে আসা মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মাঝিকান্দা গ্রামের বাবুল মাতুব্বরের ছেলে শাকিব মাতুব্বর (১৬)।

এ সময় সাত-আটজন তরুণ ও কিশোর ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে ইয়াছিনসহ তিনজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে রাত ২টার দিকে ইয়াছিন খালাসির মৃত্যু হয়।

আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান হাওলাদার বলেন, থানমাত্তা গ্রামের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, শনিবার রাতে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ইয়াছিন খালাসি নামের একজন মারা গেছেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আমার বার্তা/এল/এমই