স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শ্বশুর খুন

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১০:২৭ | অনলাইন সংস্করণ

  আমার বার্তা অনলাইন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের মাদকাসক্ত জামাই সবুজ আহম্মেদের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন চাচাশ্বশুর ইলিয়াস হোসেন (৪৭)।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভোরে ইলিয়াস হোসেনের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হয়েছেন নিহতের ভাতিজা আব্দুল্লাহ (২৫)। তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘাতক সবুজ আহম্মেদ একই উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের ময়নাল হোসেনের ছেলে।

আহত আব্দুল্লাহ জানান, ভোরে বাড়ির সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এসময় হঠাৎ বাড়িতে আসেন সবুজ আহম্মেদ। ঘরের দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় চড়াও হন স্ত্রীর ওপর। শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা ছুরি বের করে স্ত্রী সালমা খাতুনকে ছুরিকাঘাত করতে যান। সেখান থেকে পালিয়ে আসেন স্ত্রী।

হট্টগোল দেখে পাশের কক্ষ থেকে ছুটে আসেন চাচা ইলিয়াস হোসেন ও আব্দুল্লাহ নিজেই। ঠেকাতে গেলে ওই ধারালো ছুরি ইলিয়াসের পেটে ঢুকিয়ে দেন সবুজ। পরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ঠেকাতে গিয়ে আহত হন আব্দুল্লাহও। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ইলিয়াস ও আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আফরিন ইলিয়াসকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত হওয়ায় আব্দুল্লাহকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

এদিকে এলাকাবাসী সুবজকে ধরে একটি কক্ষে আটকে রাখে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। দুই ঘণ্টা পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় সবুজকে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া আফরিন জানান, হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান ইলিয়াস। তাদের দু’জনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাকিটা মরদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত সবুজ আহম্মেদকে আটক করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আমার বার্তা/জেএইচ