মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দী ইউনিয়ন সম্পত্তির বিরোধ ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকালে জামালদি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় সুমন মিয়ার ব্যাটারীর সামনে নদীর মাছ কিনা কেন্দ্র করে সুমন মিয়ার বেকারির কর্মচারী এবং আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার সাথে তর্কবিতর্ক একপর্যায়ে টিল ঘোষ এর ঘটনা ঘটে। ঘটনার জের ধরে আনোয়ার ও দেলোয়ার পক্ষ থেকে একাধিক লোক সুমন মিয়ার বেকারির সামনে গেলে সুমন মিয়ার বেকারিতে লাগানো ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়। ভিডিও চিত্র দেখিয়ে সম্পত্তির বিরোধ হিসেবে আনোয়ার ও দেলোয়ার সহ ৫ থেকে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে গজারিয়া থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ করে সুমন মিয়া।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায় চাঁদাবাজির বাদী সুমন মিয়া উপজেলা যুবদল যুগ্ন আহবায়ক আলী হোসেনের ভাতিজি জামাই। যুবদল নেতা আলী হোসেন এর সাথে চাঁদাবাজির অভিযুক্ত আনোয়ার ও দেলোয়ার বাড়ি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিনের মামলা মোকধ্যমা নিয়ে বিরোধ চলছে। নদীর মাছ কিনা বেচা কেন্দ্র করে সুমন মিয়ার বেকারির এক কর্মচারী দেলোয়ার কে কিল ঘুষি মারে। প্রতিশোধ হিসাবে আনোয়ার ও দেলোয়ারের পরিবারসহ একাধিক লোক সুমন মিয়ার কারখানার সামনে গেলে তারা নাটক সাজাতে চেষ্টা করে। বেকারি মালিক সুমন মিয়া সাংবাদিকদের জানান আনোয়ার, দেলোয়ার, ও রাজিব সহ একাধিক লোক বেকারিতে চাঁদা হিসাবে টাকা দাবি করেছে। তাদের নামে গজারিয়া থানায় আমি অভিযোগ করেছি। প্রতিপক্ষ রাজীবের স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান বিএনপি নেতা আলী হোসেন আমাদের বাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা করছে। মামলার রায় আমরা পেয়েছি। বিএনপি নেতা আলী হোসেন আমাদের বাড়ি দখলের বারবার হুমকি দিচ্ছে। শুক্রবার নদীর মাছ কিনাকে কেন্দ্র করে আলী হোসেনের ভাতিজি জামাই বেকারি মালিক সুমন মিয়ার কর্মচারী আমাদের একজনকে মারপিট করেছে। আমরা সুমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তার বেকারির এখানে গিয়েছিলাম।
গজারিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার আলম আজাদ জানান থানায় অভিযোগ হয়েছে তদন্ত প্রক্রিয়া কাজ চলছে। যা সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমার বার্তা/মুকবুল হোসেন/এমই