সেই দেলোয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক:

অনেক নাটকীয়তার পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের অপহৃত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

দেলোয়ারের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবিব রুবেল মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় তিনি একক প্রার্থী থাকেন। ২১ এপ্রিল দুপুরে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখের কাছে লুৎফুর হাবীব রুবেলের পক্ষে তার প্রত্যাহারপত্র জমা দেন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিনহাজ উদ্দিন।

আব্দুল লতিফ শেখ জানান, কোনো পদে একক প্রার্থী থাকলে আইন অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যহারের শেষ সময় অতিবাহিত হলে পরদিন অফিসিয়ালি রিটার্নিং অফিসার তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে পারবেন। যেহেতু সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দেলোয়ার হোসেন ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী নেই সে কারণে দেলোয়ারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

গত ৩ এপ্রিল শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে লুৎফুর হাবীব রুবেল পদত্যাগ করে ৮ এপ্রিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। 

জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিমন্ত্রী পলকের রুবেল এবং আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে রুবেল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে দেলোয়ার হোসেন একক চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া এ উপজেলায় তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও যাচাইয়ে সজিবুল ইসলাম সজিবের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দিতে বের হন। জরুরি প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে সেখান থেকে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত আলাউদ্দিন মুন্সিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দেলোয়ার হোসেন নির্বাচন অফিস থেকে নেমে এলে তাকেও একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে দুর্বৃত্তরা তাকে গাড়ির ভেতর মারধর করে। সেদিন বিকেলে দেলোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে (সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের পারসাঐল গ্রাম) সামনে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

এ ঘটনায় আহত দেলোয়ারের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করেন।

গত ১৯ এপ্রিল অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেন।