একসঙ্গে স্কুলে যেত ৩ শিশু, এখন শুয়ে আছে পাশাপাশি কবরে
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

একসঙ্গে স্কুলে যেত, খেলা করত শিশু আরিয়ান, বাপ্পি ও হুমায়ের। তিনজনই প্রায় সমবয়সী। এখন পাশাপাশি কবরে শুয়ে আছে তারা।
গত সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এ শিক্ষার্থীদের করুণ মৃত্যুতে স্বজন ও এলাকাবাসীও শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, তারা একই বংশের সদস্য। উত্তরার দিয়াবাড়ির তারারটেক মসজিদ এলাকায় একসঙ্গেই বেড়ে উঠছিল। ঘটনার দিন গত সোমবার স্কুল শেষে চলছিল কোচিংয়ের ক্লাস। কোচিং শেষে বাসায়ও ফেরার কথা ছিল একসঙ্গে; কিন্তু একটি বিমান দুর্ঘটনায় তাদের জীবন প্রদীপ অকালে নিভে গেল। হাশিখুশি মুখগুলো নিথর দেহ হয়ে পৌঁছেছে স্বজনদের কাছে। তারা এখন কবরে শুয়ে আছে পাশাপাশি।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ওই এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শনে মিলল শোকের আবহ। দুদিন আগেও যে আঙিনায় একসঙ্গে খেলাধুলায় মেতে থাকতো এই শিশুরা সেখানেই আজ পাশাপাশি কবরে শায়িত।
চোখের জলে পরিবারের কনিষ্ঠ তিন সদস্যকে বিদায় জানালো স্বজনরা। পুরো এলাকায় যেন শোকে স্তব্ধ। অঝোরে কেঁদেছেন বন্ধু, সহপাঠী আর প্রতিবেশীরাও।
স্বজনরা জানান, তারারটেক মসজিদের পাশেই পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতো আরিয়ান, বাপ্পি ও হুমায়ের। আলাদা তিনটি বাড়িতে থাকলেও তারা একই পরিবারের সদস্য, সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বাপ্পি ওই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আবু শাহিনের সন্তান এবং একই ক্লাসের হুমায়ের তার ভাইয়ের ছেলে। এ ছাড়া চতুর্থ শ্রেণি ছাত্র ১০ বছরের আরিয়ান শাহিনের চাচাতো ভাই।
উল্লেখ্য, সোমবার ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণ হারায় আরিয়ান, বাপ্পি ও হুমায়ের। দুর্ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
আমার বার্তা/এল/এমই