চবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:০১ | অনলাইন সংস্করণ
আমার বার্তা অনলাইন:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার সুষ্ঠু বিচার, প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের প্রতিবাদ এবং নিরাপত্তা ও আবাসনসহ নানা সমস্যা সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারের সামনে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
তাদের দাবিগুলো হলো:
১) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রক্টরকে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী হামলায় জড়িত থাকলে চাকরিচ্যুত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
২) হামলার পর বাসা ও কটেজ ছেড়ে যেসব শিক্ষার্থী অন্যত্র অবস্থান নিয়েছেন, তাদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উদ্যোগ নিতে হবে।
ক) কটেজ ও বাসার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে লিখিতভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং যতদিন শিক্ষার্থীরা অনিরাপদ বোধ করবেন, ততদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
খ) এক সপ্তাহের মধ্যে দীর্ঘদিন অব্যবহৃত হলগুলো সংস্কার করতে হবে।
৩) নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থতার দায় নিয়ে—
ক) উপাচার্যের অযাচিত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।
খ) দায়িত্বহীন আচরণের জন্য প্রক্টরিয়াল বডিকে জবাবদিহি করতে হবে।
গ) ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বর প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপগুলো প্রকাশ করতে হবে।
৪) শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করতে হবে এবং দক্ষ লোকবল নিয়োগ দিয়ে নিরাপত্তা দপ্তরকে ঢেলে সাজাতে হবে।
৫) দুটি জরুরি হটলাইন সার্ভিস চালু করতে হবে—
ক) শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে প্রক্টর অফিসের তত্ত্বাবধানে একটি হটলাইন সার্ভিস।
খ) যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটির তত্ত্বাবধানে নারী নিপীড়ন বিরোধী সেল গঠন করে আলাদা হটলাইন সার্ভিস।
মানববন্ধনে আরবী বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুজাহিদ উল্লাহ বলেন, ‘আজ আমরা মূলত পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করছি। প্রথম দাবি ছিল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের সনাক্ত করা। কিন্তু সেটি করা হয়নি, বরং অজ্ঞাতনামা মামলা করা হয়েছে। এজন্য আমরা আহত শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির জবাবদিহির দাবিতে এখানে দাঁড়িয়েছি।’
মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আহত শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ অজ্ঞান হয়ে পড়লে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই