কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে দুইপক্ষের বাকবিতণ্ডা: নির্বাচন স্থগিত 

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৫২ | অনলাইন সংস্করণ

  হাবিবুর রহমান, কুবি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে দুইপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এক পক্ষ ভোট দিতে চাইলে অপরপক্ষ ভোট দিতে বাধাঁর সৃষ্টি করে। এই উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সবার উপস্থিতিতে এই স্থগিতের সিদ্ধান্ত দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান। 

সরেজমিনে দেখা যায়, এইবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে (বিএনপি- জামাত সমর্থিত) সাদা দল। অন্যদিকে (বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী) নীল দলের দুইটি অংশ। নীল দলের একাংশ(সাইদুল-মুর্শেদ) অংশটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে নীল দলের আরেকাংশ (ওমর-জাহিদ) প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচন গঠনতন্ত্রবিরোধী ও নির্বাচনের দিন তারিখ নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিলেন। তাঁদের দাবি, নির্বাচন কোথায় অনুষ্ঠিত হবে সে-সম্পর্কে কিছুই জানে না।

নীল দলের আরেকাংশের নেতাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন কখন ভোট কেন্দ্র পরিবর্তন করেছে আমরা জানি না। নির্বাচন পূর্বে যেমন শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হতো, এবারও হবে। 

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান বলেন, শিক্ষক লাউঞ্জে নির্বাচন করার জন্য আমরা প্রশাসন বরাবর অনুমতি চেয়েছি। প্রশাসন আমাদের বলেন, আপনারা শিক্ষক লাউঞ্জ ছাড়া যেকোন জায়গায় নির্বাচন করতে পারেন। এখন আমাদের নীল দলের দুইটি অংশ চিঠি দিয়েছে। আমরা এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব। 

নীল দলের একাংশের কার্যকরী সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম বলেন,  আমরা সকাল থেকে ভোট দেওয়ার জন্য এখানে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু প্রক্টরের নেতৃত্বে এখানে একটা গ্রুপ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা এখানে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়।

এছাড়া ২০২৩ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ ও কমিশন গঠনে শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা করা হয়নি দাবি করে শুরু থেকেই নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে নীল দলের (ওমর-জাহিদ) সমর্থিত শিক্ষকরা। এ দলের শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে উপাচার্যপন্থী হিসেবে পরিচিত। নির্বাচনে তাঁরা অংশগ্রহণ না করলেও নীল দলের আরেকটি অংশ (সাইদুল-মুর্শেদ সমর্থিত) নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে অংশগ্রহণ করছে। এ পক্ষটি বর্তমান শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে আছে। এছাড়া সাতটি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা। 

উল্লেখ্য, ভোট গ্রহণ সকাল ৯টক থেকে ১টা পর্যন্ত শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বাকবিতণ্ডার কারণে একটি ভোটও নিতে পারেননি কমিশন। একপক্ষ ভোটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকলেও অপরপক্ষটি দরজা অবরোধ করে রেখেছে৷ 


এবি/ইজা