জাবিতে ধর্ষণের প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৯ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হলের পাশের জঙ্গলে ছাত্রলীগ নেতাদের কর্তৃক স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি।
একইসঙ্গে 'জাবিতে ধর্ষণের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন বা কেবল ব্যক্তির অপরাধমূলক কোনো ঘটনা নয়; বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগকে এর দায় নিতে হবে' বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে নেতাকর্মীরা এ হুঁশিয়ারি দেন।
জানা যায়,গতকাল আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হলের পাশের জঙ্গলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতা মুস্তাফিজুর রহমান খান জাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। জড়িত আরেকজনের নাম হচ্ছে মামুন। সে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী নয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ধর্ষণের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. নাহিদ ইসলামের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব নুসরাত তাবাসসুম, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য সানজানা আফিফা অদিতি এবং আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বক্তারা গণধর্ষণের ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানায়। বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একজন নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায়। ক্ষমতাসীন দল দেশজুড়ে যে বিচারহীনতা এবং নিরাপত্তাহীনতার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে , এই ধর্ষণের ঘটনা তার থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। গোটা দেশজুড়েই ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগ ধর্ষণকে তাদের ট্রেডমার্কে পরিণত করেছে। ধর্ষণ, সন্ত্রাস ও নিপীড়ন ছাত্রলীগের মজ্জাগত এবং তা এখন ছাত্রলীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, জাবির ধর্ষণের ঘটনার দায় অবশ্যই ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে। ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ঊর্ধ্বতন প্রশাসন, সরকার সার্বিকভাবে একটা রাজনৈতিক সিস্টেমের ভিতর দিয়ে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে। সরকার এই ধর্ষক, নিপীড়ক, চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। এরূপ ন্যাক্কারজনক ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে তা নিশ্চিত করতে এই গণধর্ষণের জন্য দায়ী ক্ষমতা কাঠামোকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে।
পরে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতাকর্মীগণ একটি মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আমার বার্তা/জালাল আহমদ/এমই