বর্তমান যুগে জিমেইল অ্যাকাউন্ট নেই, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। ব্যক্তিগত কিংবা অফিসিয়াল কাজে মেইল ব্যবহার করছেন প্রায় সবাই। অনেকেই অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বা মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম থেকে মেইলকেই বেশি নিরাপদ মনে করেন। অফিসিয়াল কিংবা ব্যক্তিগত সব কাজেই মেইল ব্যবহার বেশি নিরাপদ।
তবে, হ্যাকারদের জন্য আসলে কোনো প্ল্যাটফর্মেই নিশ্চিন্তে থাকা সম্ভব নয়। ফাঁদে ফেলে জিমেইলের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। এই ‘লুকনো বিপদ’-এর কথা জানিয়ে ১৮০ কোটি জিমেইল ব্যবহারকারীকে সতর্ক করেছে গুগল।
সবচেয়ে বেশি ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে জেমিনিকে ব্যবহার করেই এই কাজ করছে হ্যাকাররা। সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জেমিনিকে বোকা বানিয়েই বার্তা পাঠাচ্ছে হ্যাকাররা। ফলে গুগলের নিজস্ব চ্যাটবটটি কোনো সতর্কতা জারি করতে পারছে না। আর ইউজাররাও ব্যক্তিগত তথ্য যেমন দিয়ে দিচ্ছেন, তেমনই ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে ঢুকেও পড়ছেন।
ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠানো মেইলগুলো বেশিরভাগই জরুরি অথবা বাণিজ্য সংক্রান্ত বলে দাবি করে হ্যাকাররা। ফন্ট সাইজ শূন্য করে দিয়ে টেক্সটের রং সাদা করে ‘অদৃশ্য’ প্রম্পট পাঠাচ্ছে তারা। ফলে, বোকা বনে যাচ্ছে জেমিনি। এদিকে ব্যবহারকারীরা জেমিনিকে ‘সামারাইজ দিস ই-মেইল’ প্রম্পট দিলে তখন গুপ্ত বার্তাও পড়ে ফেলে জেমিনি। সেই বার্তায় ‘গুগল সাপোর্ট’-এর ভুয়া ফোন নম্বরও দেওয়া থাকছে। ফলে একবার ফাঁদে পা দিলেই সর্বনাশ! সব খোয়াতে হতে পারে।
যেভাবে হ্যাকিংয়ের এই ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে পারেন আপনি-
১। এআই সামারিতে ‘আর্জেন্ট সিকিউরিটি ওয়ার্নিংস’ এলে সেটা চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না।
২। গুগল কখনো জেমিনির সামারিতে আপনাকে পাসওয়ার্ড বদলাতেও বলবে না।
৩। কোনো সামারিতে যাই বলা হোক, সন্দেহ হলে নিজেই মেইলটি পুরোটা পড়ে দেখুন।
৪। কোনো সাপোর্ট নম্বরে ফোন করতে বললে আগে ভালো করে সব দিক খতিয়ে দেখুন।
আমার বার্তা/এল/এমই