বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসি অ্যাক্রেডিটেশন প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৫, ১৬:১৫ | অনলাইন সংস্করণ

  বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

গুণগত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণে অংশ নেন বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো “বিএসি অ্যাক্রেডিটেশন প্রসেস” বিষয়ক এক বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা। উচ্চশিক্ষায় গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (IQAC) অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন IQAC-এর অতিরিক্ত পরিচালক ড. কানিজ হাবিবা আফরিন। তিনি প্রশিক্ষণের প্রাসঙ্গিকতা এবং গুণগত শিক্ষা অর্জনে কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স ব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা। তিনি বলেন, “বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় গুণগত শিক্ষার ধারাবাহিক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আমাদের শিক্ষকদের মানোন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”

প্রোগ্রাম চেয়ার হিসেবে বক্তব্য দেন IQAC-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, “অ্যাক্রেডিটেশন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা তার কাঠামো, কৌশল ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করবেন।”

কর্মশালার প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল-এর সাবেক সদস্য এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী। তিনি বিএসি-এর নির্ধারিত মানদণ্ড ও ধাপসমূহ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন কৌশলগত ও নীতিগত দিক সম্পর্কে হাতে-কলমে ধারণা প্রদান করেন।

দিনব্যাপী তিনটি সেশনে অংশগ্রহণকারীরা উচ্চশিক্ষায় মান উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন, ইভালুয়েশন মেথডোলজি ইত্যাদি সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করেন।

কর্মশালার সঞ্চালনা করেন IQAC-এর এক্সিকিউটিভ মনীম বিন আশিফ।

উল্লেখ্য, কর্মশালায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীরা প্রাপ্ত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নিজেদের বিভাগীয় শিক্ষায় প্রয়োগ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

 

আমার বার্তা/মেহেদী হাসান মিলন/এমই